লেঃ (অবঃ) বি.এন গাজী মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ (দাদু) বীর প্রতীক-এর জীবন ইতিহাস
Home || Administration || Notices
জন্মঃ ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ১১
নভেম্বর পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী গ্রামে।
মৃত্যুঃ ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১০
আগস্ট মহানগরী খুলনার ২২, বি.কে. রায় রোডস্থ নিজ বাসভবনে।
নৌবাহিনীতে যোগদানঃ ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৬৫ ও ১৯৬৭ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে সাবমেরিনার হিসাবে
তিনি অংশগ্রহণ করেন। তিনি প্যারিস ইউনিভার্সিটি থেকে Under
Water Engineering কোর্স সম্পন্ন করেন।
প্রবাসে বিদ্রোহঃ পাকিস্তানের
জন্য ডলফিন সাবমেরিন “ম্যাংরোঃ আনার জন্য তাকে ফ্রান্সে প্রেরণ করা হয়। তিনি ১৯৭১ খিস্টাব্দের
২৫শে মার্চ গণহত্যা এবং ২৬ মার্চ বন্ধবন্ধুর ডাক শুনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরো ৭জন। এই ৮ সদস্য বিশিষ্ট দলের তিনি ছিলেন দলনেতা।
স্বপক্ষ ত্যাগ করে দলকে নিয়ে তিনি সুইজারল্যান্ড, বার্সিলেন, মার্দিদ ও রোম হয়ে বোম্বে
পৌঁছান। ৯ এপ্রিল বোম্বের মেয়র তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান।
নৌকমান্ডো গঠনঃ দিল্লী এবং আগ্রায়
একমাস অবস্থান করার পর তিনি কলকাতা হয়ে মুর্শিদাবাদের পলাশীতে পৌঁছান। এখানে তিনি ভারতে
অবস্থানরত ৫০০ যুবক নৌকমান্ড হিসেবে ভর্তি করাণ এবং প্রশিক্ষণ দান শুরু করেন। এই কমান্ডো
নৌপথে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তারা ১৩২টি জাহাজ ধ্বংস করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানঃ তাঁর নেতৃত্বে
আনুমানিক ৪০০০ যোদ্ধা ছিল। এই যোদ্ধাদের নিয়ে তিনি কপিরমুনি যুদ্ধে, গড়ইখালি যুদ্ধে,
নীল কমল যুদ্ধে, চালনা যুদ্ধে, লক্ষিখোলা যুদ্ধে, পাইকগাছা যুদ্ধে, চাপড়া যুদ্ধে, আশাশুনি
যুদ্ধে, শিয়ালডাঙ্গা যুদ্ধে ও খুলনা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্তাবর্তনের
দিন ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁর নেতৃত্বে নৌকন্টিজেন্টের
পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার
জন্য ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে তাকে বাংলাদেশ সরকার বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থাগার
প্রতিষ্ঠায় অবদানঃ বাংলা মায়ের এই বীর সন্তানের উৎসাহে ও সহযোগিতায় ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে
খুলনার বুকে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থাগার ‘বীরশ্রেষ্ঠ
মোঃ রুহুল আমিন পাবলিক লাইব্রেরি’। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই লাইব্রেরীর সভাপতি
ছিলেন।